রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে আলোকিত মানুষ হয়ে পরিবারের সবার সপ্ন পূরণ করা। একটি সুন্দর ও সুস্থ জীবন কে না চায়।
আশা যেন মরীচিকা হয়ে সব সপ্নকে ধূলিসাৎ করে থমকে দিয়েছে জীবনের সোনালী অধ্যায়। একটি দূর্ঘটনায় সারা জীবনের কান্না। বলছি দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরনকারী নিথরদেহী মেধাবী ছাত্র আসলাম হাওলাদারের কথা।
আসলাম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আবদুল জলিল হাওলাদার ও তাসলিমা বেগমের জেষ্ঠ্য সন্তান। আসলামের দুর্দশার কথা শুনলে গাঁ শিহরিত হয়ে যায়।
আসলামের বাবাও স্ট্রোক করে অসুস্থ অবস্থায় দিন যাপন করছেন। পরিবারের হাল ধরার নেই কেউ। জীবনের প্রদীপ নীবু-নীবু কখন যেন থমকে দাঁড়িয়ে আয়ু এই দুঃচিন্তায় কোনভাবে মানবেতর জীবন কাটছে ওই পরিবারটির।
স্থাবর-অস্থাবর মালিকানাধীন সম্পত্তি যা ছিল একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য সব বিক্রি সম্পন্ন। প্রতিদিন আসলাম ও তার বাবার ঔষধ বাবদ ৮০০-১০০০ টাকার প্রয়োজন। ২০১২ইং সালে আসলাম বাকেরগঞ্জ এ এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বানিজ্য বিভাগ হতে মাধ্যমিক এবং ২০১৪ইং সালে কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ হতে একই বিভাগ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। আশা ছিল বড় হয়ে চাকুরী করে পরিবারের পাশে দাঁড়াবে।
নিয়তির নির্মম পরিহাস ২০১৫ইং সালের অক্টোবর মাসে বাড়িতে একটি গাছে ডাল কাটতে ওঠে দুরন্ত আসলাম কে জানত ওই গাছই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে? পাশে বৈদ্যুতিক লাইন ছিল অসর্তকতা বশত ওই বৈদ্যুতিক লাইনের তারের সাথে শক লেগে বিদ্যুৎতাহিত হয়ে ছিটকে পড়ে মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গিয়ে গুরুতর আহত হয় আসলাম।
দ্রুত উদ্ধার করে তাকে শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অনেক টাকা-পয়শা খরচ করেও আসলাম স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে নি। তার সঙ্গী এখন হুইল চেয়ার।
এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য তার প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। আসলাম সমাজের সম্ভ্রান্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে আমি বাঁচতে চাই আমাকে আপনারা বাঁচান।
আসলামের বাবা আবদুল জলিল হাওলাদার কান্না বিজরিত কন্ঠে বলেন- বাবা আমি এ্যাহোন নিঃস্ব অসহায়, আমার কোন অবলম্বন নাই যে আমার পোলাডার চিকিৎসা করামু। একেতো আমি স্ট্রোক করছি চিকিৎসার অভাবে দিনদিন সোনার দেহ ছাই হইয়া যাইতে লাগছে।
তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার পোলাডার যেন চিকিৎসা করাইতে পারি।
আসলাম প্রতিবেদককে জানায় আমার এই নাম্বারটি বিকাশ ও নগদ করা আছে(০১৭৮১৮৩১১০২) কেউ সাহায্য করতে চাইলে দয়া করে উক্ত নাম্বারে আর্থিক সাহায্য পাঠাবেন। আমি আপনাদের আর্থিক সাহায্য পেয়ে উন্নত চিকিৎসা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে সকলের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব।